সরদার ফজলুল করিম বিংশ শতকের চল্লিশের দশক থেকে শুরু করে সত্তরের দশকজুড়ে দেশের সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সর্বোপরি রাজনৈতিক প্রবাহের মুখ্য কুশীলবদের একজন। তাঁর এ বইতে মূর্ত হয়েছে অগ্রসর চিন্তকের ধারাভাষ্যে চার দশকের সমাজ ও রাজনীতির নিবিড় চালচিত্র।
বইয়ের বিবরণ
ইতিহাসের বিচারে বিংশ শতকের চল্লিশ, পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তর দশক ভারতীয় উপমহাদেশের এক বিশেষ কালপর্ব। সেই কালপর্বের প্রত্যক্ষদর্শী এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী সরদার ফজলুল করিম। তাঁর দুটি স্মৃতিকথামূলক ও একটি সাক্ষাৎকারভিত্তিক বই এক মলাটে বের হলো আত্মজীবনী ও অন্যান্য শিরোনামে।
এ বইয়ের ভেতর দিয়ে উঠে এসেছে তাঁর বিচিত্র জীবনকথা। কেবল নিজের জীবনের কথাই তিনি বলেননি; সেই সঙ্গে তুলে ধরেছেন চারটি দশকের সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সর্বোপরি রাজনীতির বহুরৈখিক চালচিত্রও। ফলে অতুলনীয় ঘরোয়া ভঙ্গিতে বলা তাঁর এই বই সমাজ-গবেষক তো বটেই, অনুসন্ধিৎসু পাঠকের সামনে তুলে ধরবে অপার তথ্যের ভান্ডার। এ বই হয়ে উঠেছে আমাদের সামাজিক ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায় ।
- শিরোনাম আত্মজীবনী ও অন্যান্য
- লেখক সরদার ফজলুল করিম
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সরদার ফজলুল করিম
জন্ম ১ মে ১৯২৫, বরিশালের এক কৃষক পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৫ সালে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও ১৯৪৬ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে শিক্ষকতা। ছাত্রজীবন থেকেই শোষণমুক্ত মানবতাবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িত ছিলেন। ১৯৫৪ সালে জেল থেকেই পাকিস্তান আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩-৭১ সাল পর্যন্ত পালন করেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের মুখ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস কারাগারে কাটান। ১৯৭২-৮৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। জাতীয় অধ্যাপকের মর্যাদায় ভূষিত। উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ও সম্মাননা: বাংলা একাডেমি ও স্বাধীনতা পুরস্কার। তাঁর আত্মজীবনী ও অন্যান্য বইটি প্রকাশ করেছে প্রথমা। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য অনূদিত ও মৌলিক গ্রন্থ প্লেটোর রিপাবলিক, রুশোর সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট, দর্শনকোষ, নানা কথার পরের কথা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ: অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক-এর আলাপচারিতা, রুমীর আম্মা ও অন্যান্য প্রবন্ধ। মৃত্যু ১৫ জুন ২০১৪।