প্যাকেজ: মুক্তিযুদ্ধ – ৩
লেখক: মহিউদ্দিন আহমদ, মতিউর রহমান, রেহমান সোবহান, ড. কামাল হোসেন, রওশন আরা খানম, মঈদুল হাসান
বিষয়: প্যাকেজ
বইয়ের বিবরণ
একাত্তরের চিঠি – 400
শহীদ বদি ও আমার স্মৃতিতে একাত্তর – 300
এই দেশে একদিন যুদ্ধ হয়েছিল – 520
বাংলাদেশের অভ্যুদয় : একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য – 450
মুক্তিযুদ্ধ কেন অনিবার্য ছিল – 300
বিজয়ের মুহুর্ত ১৯৭১ – 250
উপধারা একাত্তর : মার্চ-এপ্রিল – 400
- শিরোনাম প্যাকেজ: মুক্তিযুদ্ধ – ৩
- লেখক মহিউদ্দিন আহমদ, মতিউর রহমান, রেহমান সোবহান, ড. কামাল হোসেন, রওশন আরা খানম, মঈদুল হাসান
- প্রকাশক প্রথমা বিশেষ সংগ্রহ
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

মহিউদ্দিন আহমদ
জন্ম ১৯৫২, ঢাকায়। পড়াশোনা গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। ১৯৭০ সালের ডাকসু নির্বাচনে মুহসীন হল ছাত্র সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিএলএফের সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দৈনিক গণকণ্ঠ-এ কাজ করেছেন প্রতিবেদক ও সহকারী সম্পাদক হিসেবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সুংকোংহে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাস্টার্স ইন এনজিও স্টাডিজ’ কোর্সের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও অধ্যাপক। তাঁর লেখা ও সম্পাদনায় দেশ ও বিদেশ থেকে বেরিয়েছে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা অনেক বই। প্রথমা প্রকাশন থেকে বেরিয়েছে ‘অপারেশন ভারতীয় হাইকমিশন’, ‘প্রতিনায়ক’, ‘জাসদের উত্থান পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’, ‘এক–এগারো’, ‘বাঙালির জাপান আবিষ্কার’, ‘বিএনপি: সময়-অসময়’, ‘বিএনপি : সময়-অসময়’, ‘আওয়ামী লীগ: উত্থানপর্ব ১৯৪৮-১৯৭০’, ‘এই দেশে একদিন যুদ্ধ হয়েছিল’, ‘আওয়ামী লীগ : যুদ্ধদিনের কথা ১৯৭১’। প্রথম আলোয় কলাম লেখেন।

মতিউর রহমান
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৪৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর। সম্পাদক ছিলেন সাপ্তাহিক একতা (১৯৭০-৯১) ও ভোরের কাগজ (১৯৯২-৯৮) পত্রিকার । বর্তমানে প্রথম আলোর সম্পাদক (১৯৯৮ সাল থেকে)। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ— ‘ভালোবাসায় বাড়ানো হাত’, ‘আকাশভরা সূর্যতারা : কবিতা-গান-শিল্পের ঝরনাধারায়’, ‘ইতিহাসের সত্য সন্ধানে: বিশিষ্টজনদের মুখোমুখি’, ‘মুক্ত গণতন্ত্র রুদ্ধ রাজনীতি: বাংলাদেশ ১৯৯১-২০১৭’, ‘খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকাণ্ড ১৯৫০’। যৌথভাবে লিখেছেন ‘চে: বন্দুকের পাশে কবিতা’, ‘শহীদ নূর হোসেন’। উল্লেখযোগ্য সম্পাদনা— ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট’, ‘১৯৭১: শিলিগুড়ি সম্মেলন’, ‘বিদ্রোহী বর্ণমালা’, ‘আলতাফ মাহমুদ: এক ঝড়ের পাখি’, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড: কে এম সফিউল্লাহ ও শাফায়াত জামিল বিতর্ক’, ‘জহির রায়হান: অনুসন্ধান ও ভালোবাসা’, ‘স্মৃতিতে অনুভবে আবুল হাসনাত’, ‘বঙ্গবন্ধু: শ্রদ্ধায় ভাবনায় স্মৃতিতে’, ‘শতবর্ষে সুভাষ মুখোপাধ্যায়: বাংলাদেশের শ্রদ্ধাঞ্জলি’, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ: শত্রু ও মিত্রের কলমে’, ‘বিজয়ের মুহূর্ত ১৯৭১’, ‘সম্মুখযুদ্ধ ১৯৭১: মুক্তিযোদ্ধাদের কলমে’, ‘বাংলাদেশের নায়কেরা’। ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে ‘সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সৃজনশীল যোগাযোগ'-এ ২০০৫ সালে পেয়েছেন র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার।

ড. কামাল হোসেন
জন্ম ১৯৩৭ সালের ২০ এপ্রিল। আইনবেত্তা ও রাজনীতিক। ১৯৫৮ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিসিএল এবং ১৯৬৪ সালে আন্তর্জাতিক আইনে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষের অন্যতম কৌঁসুলি হিসেবে এবং পরবর্তী সময়ে আইয়ুব খান আহূত গোলটেবিল বৈঠকে ও ইয়াহিয়া-ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর শাসনতান্ত্রিক পরামর্শদাতা হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। এ সময় বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে তিনি নেতৃত্ব দেন। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের তিনি একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।

মঈদুল হাসান
জন্ম বগুড়ায়, ১৪ শ্রাবণ ১৩৪৩। শৈশব কাটে সেখানেই। বিশ্ব-পরিমণ্ডলে তখন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ধ্বংসের ধ্বনি। চারপাশে তার নগ্ন প্রতিচ্ছবি—পঞ্চাশের মন্বন্তর, ক্ষুধার্তের মৃত্যুর সারি, পরাধীনতার বিরুদ্ধে দ্রোহ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ভারত ভাগ। তার পরপরই অধিকার অর্জনের সব স্বপ্ন একে একে ভেঙে পড়ার দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষায়তনের বাইরেও সমাজ, ইতিহাস ও দর্শনে উৎসুক হয়ে ওঠে তাঁর মন। ইত্তেফাক-এ সাংবাদিকতার সুবাদে পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গতিধারা পর্যবেক্ষণ করেন নিবিড়ভাবে। সাংবাদিকতা থেকে বিদায় নেওয়ার ছয় বছর পর একাত্তরের প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মুজিবনগর সরকারের পক্ষে ভারতের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ছিল তাঁর অন্যতম দায়িত্ব। তাঁর গবেষণাধর্মী বই মূলধারা ’৭১ মুক্তিযুদ্ধের একটি আকর গ্রন্থ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।