বইয়ের বিবরণ

  • শিরোনাম কহশিমিয়ান
  • লেখক নেওয়াজ নাবিদ
  • প্রকাশক বাতিঘর প্রকাশনী
  • আইএসবিএন ৯৮৪৮৭৪০০৯৯
  • প্রকাশের সাল ২০২০
  • মুদ্রণ 1st
  • বাঁধাই Hardcover
  • পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৪৪
  • দেশ বাংলাদেশ
  • ভাষা বাংলা

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
৪(১)
  • (০)
  • (১)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন

Rafia Rahman

১৫ Mar, ২০২৩ - ৮:৩২ PM

নাম: কহশিমিয়ান আগমনী বার্তা লেখক: নেওয়াজ নাবিদ জনরা: ডার্ক ফ্যান্টাসি থ্রিলার আত্মা-দেহের সম্পর্ক নিগূঢ়। এই সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেলে দেহের সমাপ্তি ঘটে কিন্তু আত্মা যায় কোথায়? কখনও কি এমন হয় আত্মা দেহ ছেড়ে গেছে কিন্তু দেহ তবুও জীবিত আছে? প্রশ্ন হলো, কীভাবে? বহুবছর ধরে মিডিয়াম হিসেবে কাজ করেছে ফক্স বোনেরা। মর্ডান স্পিরিচুয়ালিজমের যেন নতুন দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। আবার কারো মতে স্রেফ ভাঁওতাবাজি। কিন্তু প্রশ্নের জবাব মেলার আগেই মার্গারেটা ফক্সকে পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়! নির্ঝঞ্ঝাট জীবননীতিতে বিশ্বাসী সাইফুদ্দিন-সাফিরা দম্পতি। ঠিকঠাকই চলছিল সব কিন্তু রহস্যময় এক ব্যক্তির আগমন ঘটে। অদ্ভুত এক বই ধরিয়ে দেয় সাইফুদ্দিনের হাতে, স্পিরিচুয়াল ওয়ার্ক নিয়ে। তবে নিষেধ করে যায় কোনো রিচুয়াল করতে। আগ্রহের কাছে পরাজিত হয় নিষেধাজ্ঞা। কিছু যেন বদলে গেছে কিন্তু কী? জামাল সাহেবের মেয়ে হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে নানারকম উড়োকথা। রাফায়েল খুঁজে ফিরছে যুথিকে। ঘটনাক্রমে জড়িয়ে যায় সাইফুদ্দিন। প্রতিজ্ঞা করে বসে সাতদিনে খুঁজে বের করবে নয়তো খোয়া যাবে জীবন! কিন্তু কে জানতো বিপদ তো মাত্র শুরু... কোনো বই পড়ার সময় জনরা নিয়ে এত কনফিউজড হয়েছি কিনা সন্দেহ আছে। প্রথমে মনে হলো হরর তারপর উহু ফ্যান্টাসি, না তাও না মিস্ট্রি থ্রিলার, না না তাও হচ্ছে না ডার্ক ফ্যান্টাসি। আসলে ❝কহশিমিয়ান❞- একইসাথে বেশ কিছু জনরা কভার করেছে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, ❝কহশিমিয়ান❞ আসলে কী? যার উত্তর নেই বইয়ে। জাস্ট আবছা কিছু আভাস দেওয়া আছে। সিরিজের প্রথম বই সেজন্যই সম্ভবত লেখক শুধু ❝কহশিমিয়ান❞- র ইউনিভার্সটাই তৈরি করেছেন। শুরু ফক্স পরিবারের কাহিনী দিয়ে। সংক্ষেপে পুরো ঘটনা বলা হয়েছে। কিন্তু এতই সংক্ষেপ হয়ে গেছে যে কী ঘটেছে বিষয়টা স্পষ্ট হয়নি। তারপরে ঘটনা চলে এসেছে সাইফুদ্দিন-সাফিরা দম্পতি দিকে। চরিত্রায়ন আর নির্ঝঞ্ঝাট জীবনের আলোকপাত করা হয়েছে ভালোমতোই। কিন্তু যে ব্যক্তি সর্বদা ঝামেলা এড়িয়ে চলে সে এত সহজেই স্পিরিচুয়াল ওয়ার্কের মতো ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লো! আরও ক্লিয়ার করা দরকার ছিল। এরপর থেকে ঘটনাগুলো এমনভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে ডুবে গেছিলাম কহশিমিয়ানের জগতে। সাইফুদ্দিন যেভাবে এক সুতোর সাথে আরেক সুতো জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত গেছে, বেশ উপভোগ্য ছিল। শেষ অংশে নতুন শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে ইতি টেনেছেন লেখক। কিছু প্রশ্ন আর খটকা রয়েছে। ভেবেচিন্তে কাজ করার মতো চরিত্র সাইফুদ্দিন কিন্তু আমিরি বিপদে আছে বুঝার পরও কাউকে না জানিয়ে বা সাহায্য না নিয়ে একাই চলে গেল! মনোয়ারা বাসায় আছে তারপরও পিপ হোলে রাফায়েলকে দেখেও দরজা খুলে দিলো সিদ্দিক! প্রতিবার তাড়িয়ে দেওয়ার পর হঠাৎ পরিবর্তন? সাইফুদ্দিনের আত্মা মাহাবুবের আত্মার সাথে কানেক্ট হলো কীভাবে? বাকিদের সাথে তো হয়নি। স্পিরিচুয়াল ওয়ার্ক ছাড়া মাহাবুবের আত্মা পরিভ্রমণই বা করছে কী করে? অতিরিক্ত আলোচনা বর্জিত ঝরঝরে লেখনশৈলী। টানা পড়ে যাওয়ার পেছনে ক্রেডিট যতখানি ইউনিক প্লটের ততখানি লেখনশৈলীও। তবে বাক্য গঠনে কিছু সমস্যা আছে। বিশেষ করে একইসাথে তুমি-আপনির ব্যবহার। টুকিটাকি কিছু বানান ভুল আর বিরামচিহ্নে সমস্যা আছে। বাতিঘরের প্রোডাকশন নতুন করে কিছু বলার নেই। দাম অনুপাতে মান যথেষ্ট ভালো। প্রচ্ছদ ও নামলিপি সুন্দর। প্রচ্ছদ সাইফুদ্দিনের স্পিরিচুয়াল ওয়ার্কের কথা মনে করিয়ে দেয়। বইয়ের পছন্দের একটা প্যারা না বললেই নয়— বেশির ভাগ মানুষের জীবনের একটা পর্যায়ে এসে পেছন ফিরে তাকিয়ে সে দেখতে পারে তার জন্যে কতগুলো রাস্তা খোলা ছিল। সাহস করে একটা রাস্তায় পা রাখতে পারলেই হয়তো জীবনটা অন্যরকম হতে পারতো। কিন্তু একটুখানি নিশ্চয়তার জন্যে এমন একটা জীবনকে বেছে নিতে হয় যা আপনাকে সারা জীবন আপনি যা করতে চেয়েছিলেন তা করতে দেয় না। #প্রথমাডটকম_কথাপ্রকাশ_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা