বিশ্বায়ন: ইতিহাস ও গতিধারা
লেখক: বদরুল আলম খান
বিষয়: প্রবন্ধ, গবেষণা ও অন্যান্য, ইতিহাস ও ঐতিহ্য, আন্তর্জাতিক
মহাপ্লাবনের রূপ নিয়ে বিশ্বায়ন এগিয়ে চলেছে দেশ সমাজ ও গোত্রকে অভিন্ন এক স্রোতোধারায় অঙ্গীভূত করে। গোটা বিশ্বে চলছে উত্থান-পতন। একীভূত হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে। সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলছে সংঘাতের গভীর অন্তস্রোত। পাশাপাশি ঐক্য ও বিভক্তির ধারাও প্রভাবিত করছে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে। এই বহুমুখী প্রতিক্রিয়াকে বোঝার ক্ষেত্রে এ বইয়ের মূল্য অপরিসীম।
বইয়ের বিবরণ
বিশ্বায়ন সুদীর্ঘ এক প্রক্রিয়া। ইতিহাসের বিভিন্ন ধাপে নানা দেশ, রাষ্ট্র ও সাম্রাজ্য বিশ্বায়ন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়েছে। প্রাচীনকালে মানুষ ভ্রমণের মাধ্যমে বিশ্বায়নের সূচনা করে। তারপর বিভিন্ন সময়ে এর গতিপথকে মসৃণ করেছে মোগল সাম্রাজ্য, সঙ্গে যোগ দিয়েছে চীনের মিং এবং তুরস্কের অটোমানরা। এ প্রক্রিয়াকে আধুনিক কালে আরও ত্বরান্বিত করেছে পঁুজির অপ্রতিরোধ্য আগ্রাসী রূপ। পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইদানীং যুক্ত হয়েছে চীন ও ভারত। একই সঙ্গে সংঘাত, গভীর অন্তর্দ্বন্দ্ব আর জাতিস্বার্থ বিশ্বায়নের ঐকতানকে আঘাত করে চলেছে প্রতিনিয়ত। একক শক্তির প্রাধান্য বিনষ্ট করে বিশ্ব এগিয়ে চলেছে বহুকেন্দ্রিকতার দিকে। জটিল এই প্রক্রিয়াকে বোঝা এবং বিতর্কে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বদরুল আলম খানের বিশ্বায়ন: ইতিহাস ও গতিধারা বইটি আমাদের সাহাঘ্য করবে।
- শিরোনাম বিশ্বায়ন: ইতিহাস ও গতিধারা
- লেখক বদরুল আলম খান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩১৮৮৬৬
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
বদরুল আলম খান
জন্ম ১৯৫২ সালে, যশোরে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এমএ এবং মস্কো রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজতত্ত্বে পিএইচডি। ছাত্রজীবনে প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগে যোগ দেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। ১৯৯৪ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যাপনা করছেন। পড়িয়েছেন ম্যাকোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন অধ্যাপক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: সংঘাতময় বাংলাদেশ: অতীত থেকে বর্তমান, মাও সেতুং—চীনের দুঃখ, পুঁজিবাদের সমাজতত্ত্ব (সম্পাদিত), সমাজতত্ত্ব: সংকট ও সম্ভাবনার দেড় শ বছর, দর্শনের সংকট, তৃতীয় বিশ্ব, ধর্ম ও সমাজ বিপ্লব প্রভৃতি।