এ বইয়ের মধ্যমণি সেই দাদু, যাঁর বয়স এক শ বছরের কাছাকাছি। যিনি খেত চেনেন। চাষাবাদ বোঝেন। গাছগাছালির নাম জানেন। বলতে পারেন পাখিদের কথা। নদীর গল্পকথা যাঁর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সহচর। গাঁয়ের ছোট ছেলেমেয়েদের দেখা পেলেই যিনি বলেন নদীর গল্প। জোয়ার-ভাটার কথা। অমাবস্যা-পূর্ণিমার হিসাব যাঁর নখদর্পণে। গলা ছেড়ে যিনি গান ধরেন। জানেন গাঁয়ের সব মানুষের নাম। যে মানুষ এত জানেন, তাঁর চেয়ে বড় শিক্ষক আর কে হতে পারেন! গাঁয়ের নদীটিকে তিনি প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। শুকিয়ে মরতে বসা সেই নদীর জাগরণ যেন দাদুর জীবন-মরণ সমস্যা। দাদু নামের সেই শিক্ষক উপন্যাসের ভেতর দিয়ে ছোটদের চেনান এমন এক গ্রাম আর তার প্রকৃতিকে, যার রূপ-রস-সৌন্দর্য ছোটরা বেমালুম ভুলতে বসেছে। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের এই উপন্যাসের সুবাদে আবার তারা নতুন করে চিনবে সেই শাশ্বত প্রকৃতির রূপলীলাকে।
বইয়ের বিবরণ
- শিরোনাম নদীটির ঘুম ভেঙেছে
- লেখক সেলিনা হোসেন
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৮৭৬৫৯৯৯
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

সেলিনা হোসেন
জন্ম ১৪ জুন ১৯৪৭, রাজশাহী শহরে। ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে লেখালেখির সূচনা। প্রথম গল্পগ্রন্থ বেরোয় ১৯৬৯ সালে। অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে—উপন্যাস: গেরিলা ও বীরাঙ্গনা, দিনকালের কাঠখড়, হাঙর নদী গ্রেনেড, মগ্ন চৈতন্যে শিস, নীল ময়ূরের যৌবন, কালকেতু ও ফুল্লরা; গল্পগ্রন্থ: উৎস থেকে নিরন্তর, জলবতী মেঘের বাতাস, খোল করতাল প্রভৃতি। দেশে ও বিদেশের কয়েকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর রচনা পাঠ্য। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় একুশে পদক। শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন দুবার। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা থেকে ডি.লিট উপাধি পেয়েছেন।