বইয়ের বিবরণ
১৯৪৭ সালে দেশবিভাগ হয়েছিলো ‘দুই ধর্ম দুই জাতি’─এই ভিত্তিতে। সেই সূত্র ধরে ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলের বাংলাভাষী মুসলমানরা গাঁটছড়া বেঁধেছিলো ভারতবর্ষের পশ্চিমাঞ্চলের পাঞ্জাবী-সিন্ধী-বালুচী-পাশতুভাষী মুসলমানদের সঙ্গে। তাদের একমাত্র মিল ছিলো ধর্মের। নয়তো সমাজ-সংস্কৃতিতে আদৌ কোনো মিল ছিলো না। প্রথমেই বাঙালিদের চোখে পড়লো ভাষার অমিল। তাই নিয়ে হলো রক্তক্ষয়ী ভাষা আন্দোলন। তারপর ধীরে ধীরে দাঁত মেলে দেখা দিলো অন্যান্য ব্যবধান। যেমন, দেশের রাজনীতিতে কর্তৃত্ব থাকলো পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে। অর্থনৈতিক শোষণও ছিলো সীমাহীন। একটি স্বাধীন দেশের অংশ না-হয়ে পূর্ব পাকিস্তান পরিণত হলো পশ্চিম পাকিস্তানের উপনিবেশে। ফলে একে একে ভাষা আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন এবং শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা আন্দোলনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে গেলো। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। কিন্তু তাঁকে ক্ষমতা দিলো না পশ্চিম পাকিস্তান। বরং গণহত্যার মাধ্যমে বাঙালিদের কণ্ঠরোধ করতে চাইলো। অবশেষে স্বাধীন দেশ বাংলাদেশের অভ্যুদয়। এই ইতিহাসই তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ে
- শিরোনাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাংস্কৃতিক পটভূমি
- লেখক গোলাম মুরশিদ
- প্রকাশক অবসর-প্রকাশন
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
গোলাম মুরশিদ
ব্যাপক গবেষণা এবং বিবিধ গ্রন্েথর জন্যে গোলাম মুরশিদ উভয় বাংলায় সুপরিচিত। বাঙালি সমাজ-সংস্কৃতি, উনিশ শতকের বঙ্গদেশ, বঙ্গীয় রেনেসন্স, মানবীবিদ্যা, ভাষা-সাহিত্য ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে তাঁর বিচরণ। কিন্তু তাঁর তিরিশটি গ্রন্েথর মধ্যে আশার ছলনে ভুলি সমগ্র বাংলা জীবনী-সাহিত্যে একটি মাইলফলক বলে বিবেচিত হয়েছে। এতে কিংবদন্তির ধূম্রজাল থেকে মুক্তি দিয়ে লেখক মাইকেল-জীবনকে বস্ত্তনিষ্ঠভাবে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। বিদ্রোহী রণক্লান্ত: নজরুল-জীবনীও অনুরূপ। তাঁর হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতিকে সমালোচক বলেছেন ‘মহাগ্রন্থ’। রেনেসন্স বাংলার রেনেসন্স গ্রন্থটি বঙ্গীয় রেনেসন্স সম্পর্কে একেবারে নতুন মূল্যায়ন। পুরোনো বাংলা গদ্যের ইতিহাস রচনায়ও তাঁর অবদান অসামান্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বিলেতে বাঙালিদের ইতিহাস ইত্যাদি নানা বিষয়ে তাঁর গবেষণা। তাঁর আর-এক অসামান্য কাজ বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান সম্পাদনা।