বইয়ের বিবরণ
সরদার ফজলুল করিম শুধু দর্শন আর রাজনীতিতেই অনন্য নন, ভাষা ও সাহিত্যের ওপর তাঁর বিচরণ উল্লেখযোগ্য। গোর্কি থেকে সোমেন চন্দ, রবীন্দ্রনাথ ও সত্যেন সেন, তাঁর মূল্যায়ন অনেককে নিয়েই। সমাজ-শিক্ষা-সংস্কৃতি নিয়েও আছে গুরুত্বপূর্ণ ভাবনা চিন্তা। পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুদ্ধিজীবীর ভূমিকা, গণতন্ত্র, একুশে ফেব্রুয়ারি, মুক্তিসংগ্রাম ও বঙ্গবন্ধু ইত্যাদি বিষয় নিয়েও বিশ্লেষণ করেছেন অনেক প্রবন্ধে। সমাজতন্ত্র-গণতন্ত্র-ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়গুলোর আলোচনা প্রাধান্য পেয়েছে তাঁর ভাবনায়। প্রধান দর্শন, রাষ্ট্রচিন্তা, মানবজীবন এসবের ভাবনার নির্যাস সরদার ফজলুল করিমের এই ‘শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ’।
- শিরোনাম শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ: সরদার ফজলুল করিম
- লেখক সরদার ফজলুল করিম
- প্রকাশক কথাপ্রকাশ
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সরদার ফজলুল করিম
জন্ম ১ মে ১৯২৫, বরিশালের এক কৃষক পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৫ সালে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও ১৯৪৬ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে শিক্ষকতা। ছাত্রজীবন থেকেই শোষণমুক্ত মানবতাবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িত ছিলেন। ১৯৫৪ সালে জেল থেকেই পাকিস্তান আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩-৭১ সাল পর্যন্ত পালন করেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের মুখ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস কারাগারে কাটান। ১৯৭২-৮৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। জাতীয় অধ্যাপকের মর্যাদায় ভূষিত। উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ও সম্মাননা: বাংলা একাডেমি ও স্বাধীনতা পুরস্কার। তাঁর আত্মজীবনী ও অন্যান্য বইটি প্রকাশ করেছে প্রথমা। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য অনূদিত ও মৌলিক গ্রন্থ প্লেটোর রিপাবলিক, রুশোর সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট, দর্শনকোষ, নানা কথার পরের কথা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ: অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক-এর আলাপচারিতা, রুমীর আম্মা ও অন্যান্য প্রবন্ধ। মৃত্যু ১৫ জুন ২০১৪।