শওকত আলী বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যক। ‘শুন হে লখিন্দর’ তার প্রথমদিকের গল্পের সংকলন।
গল্পগুলো সামাজিক বাস্তববাদী এবং সময়ের জন্য প্রাসঙ্গিক। যদিও গল্পগুলো ১৯৭৪-১৯৮৫ সালের দিকে লেখা তবু তার আবেদন কোনোভাবেই কমেনি। গল্পগুলো সামাজিক বাস্তববাদী এবং সময়ের জন্য প্রাসঙ্গিক।
বলা যায়, বাংলাদেশের দৃশ্যপট বদল হলেও মানুষের মন-মেজাজ বদল হয়নি। কষ্টের মাঝেও যে সুখ থাকে এবং পরিশুদ্ধ মানুষটিও যে আড়ালে থেকে ছোবল হানতে পারে তা এই লেখকের লেখনিতে স্পষ্ট।
শওকত আলীর লেখা মানুষকে ছুঁয়ে যায়। কারণ, ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব, রাজনীতি, দর্শন ইত্যাদি কত প্রসঙ্গ-অনুসঙ্গ এসে ভিড় করে শওকত আলীর গল্পে, তবে তথ্যের জঞ্জালে তিনি তার গল্পকে আকীর্ণ করেন না মোটেও। গল্পের শরীর অবয়ব গঠনে তিনি প্রয়োজনীয় তথ্যসূত্র ব্যবহার করেন বটে, কিন্তু তা কখনোই গল্পের ঘটনাপ্রবাহ বা চরিত্রাবলির স্বাভাবিক বিকাশকে ব্যাহত করে না। আর এটাই একজন পাঠককে আকড়ে রাখে।
‘শুন হে লখিন্দর’ বইটির ক্ষেত্রেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। মধ্যবিত্ত জীবনের ভূমিকার প্রাঞ্জল প্রতিচ্ছ্ববি ফুটে উঠেছে এ কথাসাহিত্যিকের গল্পে। বইটি পাঠক পড়া শুরু করলে মুগ্ধতায় শেষ না করে পারবেন না।
বইয়ের বিবরণ
- শিরোনাম শুন হে লখিন্দর
- লেখক শওকত আলী
- প্রকাশক Daily Star Books
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।