এ বইয়ে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের কাবুল ও কান্দাহার অঞ্চলের নানা বৃত্তান্ত। এখানে ভাঙা উড়োজাহাজে বাস করে পথশিশুরা। পাগমানের স্থানীয় মানুষজন পাহাড় খঁুড়ে সংগ্রহ করে চুনি-পান্না। আফগান মহিলা কবিরা কবিতার মাইফেল বসান কবি নাদিয়া আনজুমের ইয়াদগারিতে, কবিতায় ভালোবাসার কথা লেখার কারণে যিনি খুন হয়েছেন স্বামীর দৈহিক জুলুমে। ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত পাসতুন নারী রাহেলা কায়মারের গল্প আপনাকে অভিভূত করবে। অবশেষে পাঠক দেখবেন কী করে গড়ে তুলতে হয় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে নতুন জীবনের ফল্গুধারা। পাঠক, এই বই আপনাকেও নিয়ে যাবে কান্দাহারের পথে।
বইয়ের বিবরণ
এ বইয়ের শুরুতে লেখক আফগানিস্তানে যুদ্ধবিধ্বস্ত হাওয়াই জাহাজে বাস করা পথশিশুদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। পাঠককে নিয়ে যান স্থানীয় মানুষজন কীভাবে পাহাড় খঁুড়ে চুনি-পান্না সংগ্রহ করে তা দেখাতে। বাদশাহ আমানুল্লার আমলের একটি ভগ্ন প্রাসাদে তিনি দেখা করিয়ে দেন জনা কয়েক মহিলা কবির সঙ্গে—যাঁরা কবিতার মাইফেল বসিয়েছেন কবি নাদিয়া আনজুমের ইয়াদগারিতে, কবিতায় যিনি নারীশোভন ভালোবাসার কথা প্রকাশ করার অপরাধে খুন হয়েছেন স্বামীর দৈহিক জুলুমে। সংগোপনে একটি ট্রাকের ড্রাইভিং সিটের পেছনের গুপ্তকুঠুরিতে শুয়ে তিনি রওনা হন কান্দাহারের পথে। আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে স্পিন বলডাকের বাজারে, সেখানে যাত্রাবিরতি শেষে তিনি ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত পাসতুন নারী রাহেলা কায়মারের চিঠি নিয়ে পৌঁছান শেখ সরখ গ্রামে। অনেক বছর আগে রাহেলা বিদেশি প্রেমিকের সঙ্গে দেশত্যাগ করে, পরিবারের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। এই নারীর পিতৃব্য পাসতুন সরদার মোনাব্বর উল্লা কায়মারের সঙ্গে মোলাকাত করার জন্য লেখকের সঙ্গে পাঠকও দারুণ উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করবেন। কাবুলের ক্যারাভান সরাইয়ের পর মঈনুস সুলতান আবার লিখলেন আফগানিস্তান নিয়ে। পাঠক, এই বই আপনাকে নিয়ে যাবে কান্দাহারের পথে।
- শিরোনাম রোড টু কান্দাহার
- লেখক মঈনুস সুলতান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯২৪০২৯৭
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
মঈনুস সুলতান
জন্ম ১৯৫৬ সালে, সিলেট জেলার ফুলবাড়ী গ্রামে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিষয়ে পিএইচডি। খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এবং স্কুল অব হিউম্যান সার্ভিসেস-এর। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার ভিজিটিং স্কলার ছিলেন। শিক্ষকতা, গবেষণা ও কনসালট্যান্সির কাজে বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। বর্তমানে সিয়েরা লিওনে বাস করছেন। প্রথমা প্রকাশন থেকে বেরিয়েছে তাঁর আরও ছয়টি ভ্রমণগল্পের বই কাবুলের ক্যারাভান সরাই, জিম্বাবুয়ে: বোবা পাথর সালানিনি, নিকারাগুয়া: সমোটো ক্যানিয়নে গাবরিয়েলা, সোয়াজিল্যান্ড: রাজা প্রজা পর্যটক, ঈদের সোনালি ইগল ও আকাশরাজ্য । প্রথম আলো বর্ষসেরা বইয়ের পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।