একাত্তরের সামাজিক ইতিহাস: প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে
লেখক: গওহার নঈম ওয়ারা
বিষয়: মুক্তিযুদ্ধ, প্রবন্ধ, গবেষণা ও অন্যান্য, নতুন বই, বইমেলা ২০২১
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটা সর্বাত্নক জনযুদ্ধ। একদল সূর্যসন্তান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছেন। আমরা জানি, এই সফলতার পেছনে নীরবে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। অবরুদ্ধ শহরে, পুড়িয়ে দেওয়া গ্রামে কিংবা শরণার্থীশিবিরের দমবন্ধ কুঠরিতে, গহিন নদীতে ভেসে থাকা নৌকায় বা সুন্দরবনের জলে-জঙ্গলে কীভাবে বেঁচেছিলেন তাঁরা, বাঁচিয়ে রেখেছিলেন স্বাধীনতা আর মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। এই বইয়ে তাঁদের কথা লেখা হয়েছে তাঁদেরই বয়ানে। একাত্তরকে বুঝতে, একাত্তরের সমাজকে জানতে পড়তে হবে এ বই।
বইয়ের বিবরণ
জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে উত্তাল ছিল একাত্তর। উত্তাল সেই সাগরের ঢেউ কীভাবে সামাল দিয়েছে বাংলাদেশের সমাজ? একাত্তরের গ্রামীণ সমাজ শহর থেকে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে আসা মানুষদের আশ্রয় দিয়েছে পরম আত্মীয়ের মতো। জানতে চাননি পরিচয়, ধর্ম, মাজহাব বা কত দিন থাকবেন। অনেক মা রাতে বাড়তি ভাত রেঁধে রাখতেন। তাঁরা কীভাবে জানতেন আজকে কেউ না কেউ আসবে? সমাজ, পরিবার, এমনকি গ্রামের বসতি টিকিয়ে রাখার দায়িত্বে হাত বদল হয়। সে দায়িত্ব কোথাও নারী, কোথাও-বা মায়ের অবর্তমানে কিশোরীদের হাতে চলে যায়, শিশুরাও বাদ থাকে না। তাঁরা নিজেদের সৃজনশীলতা দিয়ে সেসব চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করেছেন। এসব কথা লিপিবদ্ধ করে রাখার তাগিদ থেকেই একাত্তরের সামাজিক ইতিহাস সংগ্রহের কাজ শুরু করি বছর পনেরো আগে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংগ্রাহক ও লেখক জনাব আফসান চৌধুরী ও রশিদ হায়দারের উৎসাহ ও পরামর্শ সব সময় মিলেছে। সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বা গল্প করতে করতে জেনে নেওয়ার কাজ খুব সহজ ছিল না। সাপ্তাহিক-এ প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি দেখে অনেকে নিজের ইচ্ছায় লিখে পাঠিয়েছেন তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা। এরই একটি পর্ব প্রকাশিত হলো এ বইয়ে।
- শিরোনাম একাত্তরের সামাজিক ইতিহাস: প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে
- লেখক গওহার নঈম ওয়ারা
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।