ভারতের একসময়ের রাজধানী ছিল কলকাতা। কত নামেই না ডাকা হতো তাকে। পত্তনের সোয়া তিন শ বছর পর কলকাতার স্থাপত্য, ভাস্কর্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, গ্রন্থ, খাবারদাবার ও পরিবেশ—সব ক্ষেত্রে উদ্ভাসিত হয়ে আছেন এক অনন্য রবীন্দ্রনাথ। ২৫ বছর ধরে ২৫ বারের বেশি পরিভ্রমণে লেখক কলকাতায় কীভাবে সেই রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কার ও অনুধাবন করেছেন, তারই মনোজ্ঞ বিবরণ এই বই।
বইয়ের বিবরণ
২৫ বছর আগে কলকাতা সফর দিয়ে শুরু হয়েছিল শাকুর মজিদের বিশ্বপর্যটন। এর মধ্যে ত্রিশটির বেশি দেশ ভ্রমণ করে বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। এবার লিখেছেন তাঁর দেখা প্রথম বিদেশি শহর কলকাতাকে নিয়ে ভিন্ন স্বাদের এক ভ্রমণকাহিনি। সোয়া তিন শ বছর আগে ইংল্যান্ড থেকে আসা বণিকেরা কলকাতায় বাণিজ্য শুরু করেছিল। কাছাকাছি সময়ে বর্তমান বাংলাদেশের যশোর থেকে এক কুশারী ব্রাহ্মণ পরিবার ভাগ্যান্বেষণের জন্য কলকাতা চলে যায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আর ঠাকুর পরিবার সমান্তরালভাবে বেড়ে ওঠে কলকাতায়। এই পরিবারের এক সদস্য দ্বারকানাথ ঠাকুর একসময় বাঙালিদের কাছে ইংরেজ রাজপুত্রের মতো কদর পেতে শুরু করেন। ব্রিটিশ-ভারতের রাজধানী কলকাতাকে সিটি অব প্যালেস, সিটি অব বুকস, সিটি অব জয়—নানা নামে ডাকা হতে থাকে। একসময় শহরটি রাজধানীর মর্যাদা হারায়। ইংরেজরা চলে যায়, ঠাকুর পরিবারের জমিদারিরও অবসান ঘটে। কলকাতা পত্তনের সোয়া তিন শ বছর পর নগরটি তাহলে এখন কী নিয়ে আছে? প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতে গিয়ে কলকাতার পরিবেশ, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, সংগীত, নাটক, চলচ্চিত্র, পুস্তক এমনকি খাবারদাবারের মধ্যেও শাকুর মজিদ খুঁজে পেয়েছেন এক রবীন্দ্রনাথকে। কলকাতায় রবীন্দ্রভ্রমণ নিয়ে লেখকের বিশদ গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ পাঠককে আমোদিত ও সমৃদ্ধ করবে।
- শিরোনাম ১০ সদর স্ট্রিট : রবীন্দ্রনাথের কলকাতা
- লেখক শাকুর মজিদ
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯১২০৪৬৮
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
শাকুর মজিদ
জন্ম ১৯৬৫ সালের ২২ নভেম্বর, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা গ্রামে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে মেধাতালিকায় স্থান পান। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্থাপত্যে স্নাতক। শৈশবে কবিতা দিয়ে লেখালেখির শুরু। পরে গল্প, ভ্রমণকাহিনি লিখেছেন। নাটক লিখেছেন বেতার, টেলিভিশন ও মঞ্চের জন্য। টেলিভিশনের জন্য ফিকশন, নন-ফিকশন দুধরনেরই চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। দেশ-বিদেশের ভ্রমণচিত্র নিয়ে তৈরি করেছেন তিন শতাধিক প্রামাণ্যচিত্র। ফটোগ্রাফি, নাটক, টেলিফিল্ম ও তথ্যচিত্র বানিয়ে দেশে-বিদেশে বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। নাটক, ছোটগল্প, ভ্রমণ, স্থাপত্য, আলোকচিত্র, আত্মজৈবনিক—সব মিলে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩২। শাকুর মজিদ একজন পেশাদার স্থপতি এবং আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক।