‘আজ থেকে কয়েক প্রজন্ম পরে যখন কেউ বইটি পড়বে, আমার অভিজ্ঞতাগুলো জানবে, তত দিনে বাঘ আর সুন্দরবনের কী অবস্থা দাঁড়াবে জানি না।...এই বই সাক্ষ্য দেবে, আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে গবেষণা ও সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম।’
বইয়ের বিবরণ
চিড়িয়াখানায় গিয়ে বাঘের চোখের দিকে তাকিয়েছেন কখনো? কল্পনা করুন, ওই বাঘ আর আপনার মাঝখানে কোনো লোহার বেড়া নেই। শুধু একজোড়া জ্বলজ্বলে সোনালি চোখ তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। সে চাউনির যে কী মহিমা—একমাত্র বাঘের নিজের রাজ্যে দাঁড়িয়ে দেখলে তা বুঝতে পারবেন। সুন্দরবনের বাঘ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে লেখক মনিরুল খান অনেকবার গিয়েছেন সে রাজ্যে। মুখোমুখি হয়েছেন সুন্দরবনের রাজাধিরাজের। শৈশবে বাবা সাদত আলী খানের মুখে বুনো বাঘ দেখার অভিজ্ঞতা শুনে রোমাঞ্চিত হয়েছেন বারবার। এখন মানুষ তাঁর কাছে বাঘ দেখার গল্প শুনতে চায়। গল্পের মতো অভূতপূর্ব সব স্মৃতিচারণা মূলত সেই বাঘেরই মহিমাকীর্তন।
- শিরোনাম সুন্দরবনে বাঘের সন্ধানে
- লেখক মনিরুল খান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

মনিরুল খান
পুরো নাম মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান। জন্ম ১৯৭৪, টাঙ্গাইলে। বাবা সাদত আলী খান। তরুণ বয়স থেকে মনিরুল খান নিজেকে নিয়োজিত করেন বন্য প্রাণী গবেষণা ও সংরক্ষণ কার্যক্রমে। সঙ্গে শুরু হয় বন্য প্রাণীর ছবি তোলা। ২০০৪ সালে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুন্দরবনের বাঘের ওপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। দেশে ফিরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের বাঘের ওপরও গবেষণা চালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি তাঁর বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। বন্য প্রাণী-সম্পর্কিত বেশ কিছু বই ও প্রবন্ধ লিখেছেন তিনি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালে জাতীয় ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন’ পেয়েছেন।