নানা বর্ণ ও মাত্রার মানুষকে নিয়ে আনিসুজ্জামানের মতো এত লেখা আর কেউ লিখেছেন কি না সন্দেহ। ব্যক্তির দিকে তিনি তাকিয়েছেন মুক্ত দৃষ্টিতে। মত-পথ যা-ই হোক, প্রত্যেককে নিয়ে লিখেছেন সমান মমতায়। ব্যক্তিকে ভেদ করে তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে বাঙালির সজীব ইতিহাসধারা।
বইয়ের বিবরণ
বিপুল কর্মজগতে বিচিত্র মানুষের সঙ্গে মিশেছেন আনিসুজ্জামান। ব্যক্তি হিসেবে তাঁর ছিল নানা সম্পর্কে জড়ানো এক প্রসারিত জগৎ। তাঁদের নিয়ে তিনি লিখেছেনও বিস্তর। কোনো মানুষের মূল্য বিচার করতে গিয়ে নিজের আদর্শ ও বিশ্বাস তাঁর জন্য কখনো অন্তরায় হয়নি। কারণ, তিনি মনে করতেন, যেকোনো ধারা থেকে উত্তম যা কিছু বাংলার সমাজে এসে মিশেছে, বাঙালি হিসেবে সবটুকুর ওপরই তাঁর অধিকার আছে। তাই তিনি সমান মমতায় লিখেছেন জসীমউদ্দীন, মওলানা আকরম খাঁ, কমরেড মণি সিংহ বা মনিরউদ্দীন ইউসুফের মতো বিচিত্র মত ও পথের মানুষ সম্পর্কে। বিচিত্র সেসব মানুষের মধ্য দিয়ে এ বইয়ে ধরা পড়েছে বাঙালি সমাজের বিবর্তনের এক সজীব ছবি।
- শিরোনাম স্মৃতির মানুষ
- লেখক আনিসুজ্জামান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৫৪০০২১
- প্রকাশের সাল ২০২১
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮৭
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
আনিসুজ্জামান
জন্ম ১৯৩৭ সালে, কলকাতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বি এ অনার্স, এম এ এবং পিএইচ ডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। গবেষণা করেছেন শিকাগো ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে, যুক্ত ছিলেন জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা-প্রকল্পে। শিক্ষকতা করেছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্যারিস, নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন, বিশ্বভারতীতে ভিজিটিং প্রফেসর। সাহিত্য ও সমাজ সম্পর্কে ইংরেজি ও বাংলায় লিখিত ও সম্পাদিত তাঁর গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা, কলকাতা, লন্ডন ও টোকিও থেকে। বাংলা একাডেমী পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক পেয়েছেন; পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরোজিনী বসু পদক, এশিয়াটিক সোসাইটির পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্মারক ফলক ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মশতবার্ষিক স্মারক ফলক এবং রবীন্দ্রভারতীর সাম্মানিক ডি লিট্। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন। মৃত্যু ১৪ মে ২০২০।