বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের যুদ্ধ-পূর্ব, যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধোত্তর রাজনৈতিক ও সামরিক তৎপরতার তথ্য ও দলিলভিত্তিক অন্তরঙ্গ স্মৃতিচারণা। মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস হিসেবে গবেষক ও লেখকদের বিশদ তথ্য-উপকরণ জোগানোর পাশাপাশি বইটি পাঠককে যুদ্ধকালীন বাস্তবতা বুঝতেও সাহায্য করবে।
বইয়ের বিবরণ
লেখকের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বিবরণ এ বই। লেখক নিজে ছিলেন একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর জেলার সমন্বয়ে গঠিত ৬ নম্বর সেক্টর এবং তৎসন্নিহিত ভারতীয় অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধকালীন অনেক ঘটনা ও তৎপরতার তিনি ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী। রংপুরে আওয়ামী লীগের একজন নেতা, নির্বাচিত সাংসদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শাহ আবদুর রাজ্জাকের সহকারী হিসেবে তিনি মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন যোগাযোগ প্রক্রিয়ারও সাক্ষী ছিলেন। বইটি লিখতে তিনি নিজস্ব স্মৃতি এবং রাজনৈতিক গুরু শাহ আবদুর রাজ্জাক (বর্তমানে প্রয়াত), মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অন্যান্য সাথি ও সহযোদ্ধার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাঁদের সাক্ষাৎকার ও যুদ্ধকালীন বিভিন্ন নথিপত্রের সহায়তা নিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ও জাতীয় ইতিহাস জানা ও বোঝার পক্ষে সহায়ক হবে এ বই।
- শিরোনাম রণাঙ্গনে রাতদিন
- লেখক মো. নজরুল ইসলাম
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
মো. নজরুল ইসলাম
জন্ম ১৯৫০ সালে, বর্তমান লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে। উচ্চমাধ্যমিক ও সম্মান কারমাইকেল কলেজ থেকে। স্নাতকোত্তর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্রাবস্থায়ই প্রথমে সত্তরের নির্বাচনী প্রচারে ও পরে অসহযোগ আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধের প্রায় গোড়ার দিকেই তিনি যুদ্ধে যোগদান করেন। শিলিগুড়ির মূর্তি মুজিব ক্যাম্পে গেরিলা ও ইনফ্যান্ট্রি যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ৬ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন রণাঙ্গনে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর সুপিরিয়র সার্ভিসের প্রথম ব্যাচে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। চাকরিজীবনে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরাধীন বিনিয়োগ বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। পরে সরকারের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। প্রকাশিত গ্রন্েথর মধ্যে গোয়েথের কবিতা ও গোয়েথেরই কৌতুক নাটক খেয়ালি প্রেমিক এবং ইকবালের পাইয়াম-ই-মাশরিক-এর অনুবাদ প্রাচ্যবার্তা উল্লেখযোগ্য।