হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে ম্যাজিশিয়ান এম এ জলিল সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি বই লিখেছেন। সেটি পড়ে আমি বড় ভাই হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য পেলাম। আগ্রহী পাঠক বইটি পড়ে হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে নতুন একটি ধারণা পাবেন।
আহসান হাবীব
সম্পাদক, উন্মাদ
বইয়ের বিবরণ
হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যাকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তিনি একজন গুণী জাদুশিল্পীও ছিলেন। হিপনোটিজম, প্ল্যানচেট—কী করেননি! জাদুর সব শাখাতেই ছিল তাঁর জ্ঞান। লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশের আগেই পাকিস্তান টেলিভিশনে জাদু প্রদর্শন করেন তিনি। তাঁর জাদু দেখে মুগ্ধ হয়েছেন নন্দিত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, খ্যাতিমান লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্বের সর্ববৃহৎ জাদু সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ব্রাদারহুড অব ম্যাজিশিয়ানসের সম্মানিত সদস্য ছিলেন হুমায়ূন। সিনেমাকেও হার মানায় তাঁর জাদুশিল্পী হয়ে ওঠার গল্প। ফুটপাতের জাদুকর কিংবা মাঝির কাছেও ছুটে গেছেন জাদু শিখতে। প্রতারিতও হয়েছেন। একবার তো শ্মশানঘাটে প্ল্যানচেট করতে গিয়ে মহাবিপদেই পড়েছিলেন। বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী হুমায়ূন আহমেদের জাদু শেখা ও দেখানোর আদ্যোপান্ত নিয়ে এ বই।
- শিরোনাম জাদুশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ
- লেখক এম এ জলিল
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
এম এ জলিল
জন্ম ১৯৬৪ সালের ৭ মার্চ, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আলগীচর গ্রামে। বাবা মো. আব্দুল আলিম এবং মা জাহানারা বেগম। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্টের ওপর কোর্স করে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৩ সালে। ‘বাংলাদেশ যাদুকর পরিষদ’-এর সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা কার্যকরী সদস্য। ‘ইন্টারন্যাশনাল ব্রাদারহুড অব ম্যাজিশিয়ানস’-এর বাংলাদেশ শাখার (রিং ২৯৫) প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি এবং ইন্টারন্যাশনাল ম্যাজিশিয়ানস সোসাইটির জীবন সদস্য। জাদুশিল্পী হিসেবে মাইগ্রেশন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন। সেখানকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে কর্মরত। খ্যাতিমান এ জাদুশিল্পী কাজের ফাঁকে ম্যাজিকচর্চা, ম্যাজিক শো ও লেখালেখি করেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ যাদুকর পরিষদ আয়োজিত জাতীয় জাদু প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পান।প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: গাও গেরামের কথা ও কষ্ট। ই-মেইল: mohammad.jalil@yahoo.com