এই সিঁড়িটিই খুলেছিলো শৌর্যগাথা অমল অতীত
মেঘে মেঘে বারুদগন্ধে চোখ খোলেনি
একটি সকাল
আমি আমার পাষাণহৃদয় কুঠার দিয়ে শিকড় কাটি
হত্যাকারীর মুখটিও যে আমার মুখের ছাঁচে গড়া
আমি আমার নাড়ি দিয়ে তৈরি করি গলার ফাঁসি
খুনে-রাঙা হাতটিও যে দেখতে আমার হাতের মতোই
আমি আমার আঁতুড়ঘরে আগুন জ্বেলে
মুখ পোড়ালাম
বইয়ের বিবরণ
তারিক সুজাতের কবিতায় পাঠকের চোখে পড়বে সহজতার সৌন্দর্য। বাংলা নামের দেশ, প্রেম আর দেশপ্রেম, বাংলা ভাষা, ভাষার জন্য শহীদ, স্বাধীনতার সংগ্রাম আর আত্মত্যাগ এবং জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের হাহাকার জাগানো গভীর উচ্চারণ এ বইয়ের কবিতাগুলোকে সূত্রবদ্ধ করেছে। বাঙালির প্রতিবাদ আর আত্মোৎসর্গকে উপস্থাপনের জন্য প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন ‘কৃষ্ণচূড়া’কে, তার সৌন্দর্য আর রক্তবর্ণের বেদনাকে। ‘মায়ের চরণ ছঁুয়ে/ আকাশের দিকে উড়ে গেলো/ কয়েকটি বর্ণমালা.../ কৃষ্ণচূড়ার চোখ/ আজও খোঁজে তার/ হারানো সন্তান’। তীব্র হাহাকারের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দায় তিনি নিজেই নিয়েছেন এবং যা বলেননি তা হলো—এ দায় সবার, ‘আমি আমার পিতার খুনে হাত রাঙালাম।’ তারিক সুজাতের এই কাব্যগ্রন্েথর কবিতাগুলো একই সঙ্গে সহজ ও গভীর, সরল ও তীব্র, হাহাকারদীর্ণ আর প্রশান্তিময়।
- শিরোনাম ও প্রাণ ও বর্ণমালা
- লেখক তারিক সুজাত
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।