বাংলাদেশের উর্দু কবি আহমদ ইলিয়াস: নির্বাচিত কবিতা

লেখক: জাভেদ হুসেন

বিষয়: কবিতা, বইমেলা ২০২১, ৪০% ছাড়ের বই, বেশি ছাড়ের বই

১৬৫.০০ টাকা ২৫% ছাড় ২২০.০০ টাকা

আহমদ ইলিয়াসের কবিতা তুলে ধরেছে উপমহাদেশের ইতিহাসের খননের মধ্যে দাঁড়ানো একজন কবির জীবন। বাংলাদেশের কবিতায় তা প্রায় অনাস্বাদিত। একই দেশে থেকেও এই কবিতা আমাদের কাছে অপরিচিত। এর একদিকে একান্ত নিজস্ব অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা, অন্যদিকে একদা সমগ্র এবং আজ খণ্ডিত ইতিহাসের বোঝা। এককথায় এই দুইয়ের মিথস্ক্রিয়া বাংলাদেশের উদু‌র্ কবি আহমদ ইলিয়াসের কবিতা। তাঁর প্রতিনিধিত্বশীল গজল, নজম আর টুকরো কবিতা মূল উদু‌র্ থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন জাভেদ হুসেন।

পছন্দের তালিকায় রাখুন

বইয়ের বিবরণ

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
৫(১)
  • (১)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন

মো: নাফিউল ইসলাম

২৮ Feb, ২০২৩ - ১২:২৯ AM

বইয়ের নাম: বাংলাদেশের উর্দু কবি আহমদ ইলিয়াস:নির্বাচিত কবিতা অনুবাদ: জাভেদ হুসেন বইয়ের শিরোনামে চোখ আটকে যেতে পারে যে বাংলাদেশের উর্দু কবিতা এ আবার কি জিনিস? তারা এই বইয়ের মাধ্যমে পরিচিত হতে পারেন আহমদ ইলিয়াসের সঙ্গে। সেইসাথে জাভেদ হুসেনের মতো প্রজ্ঞাবান অনুবাদকের সাথে। মোট তিন ভাগে- ১.নজম ২. গজল ৩. শের,রুবাই ও কাতা কবিতাগুলো তালিকাবদ্ধ হয়েছে।ইলিয়াস ভারতীয় উপমহাদেশের প্রগতিশীল লেখক আন্দোলনের শেষ প্রজন্মের কবিদের একজন যিনি কিনা দুইবার দেশহারা ও পরিচয় হারা হয়েছেন। ইলিয়াসের কবিতায় তাই পাওয়া যাবে হারানোর বেদনা, ইলিয়াস বহমান জীবনকে দেখেছেন হারানোর দাগ ধরে।সারা জীবনে তিন দেশের নাগরিক হয়েছেন। পরিচয়হীনতার সত্যের মুখোমুখি তিনি ভালোভাবেই হয়েছেন এবং কবিতায় তার প্রভাবও লক্ষণীয়। তাইতো তিনি বলেন যে তিনি কবিতা লিখেন না৷ তিনি কবিতা বলেন। ইলিয়াসের কবিতা ধ্রুপদী ধরন ও সমকালীন নতুন ফর্ম দুইভাবেই লেখা হয়েছে। ফয়েজ আহমদ ফয়েজের মতো মহীরুহের সহকর্মী ছিলেন ইলিয়াস যার কিছু প্রভাব তার কবিতায়ও পাওয়া যাবে। নিস্পৃহতাকেই সময়ে সময়ে বানিয়েছেন অলংকার। নিজের সমাজ পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নকে সযত্নে স্থাপন করেছেন কবিতার মাঝে।ফয়েজ আহমদ ফয়েজের দেখানো পথেই হেঁটেছেন ইলিয়াস। গীতিকবিতা ইলিয়াসের জীবনব্যাপী অনুভবের সারমর্ম।ইলিয়াস কিছুক্ষেত্রে রোমান্টিক হলেও তিনি এই রাষ্ট্রকাঠামোকে প্রশ্ন করেন,বলে দেন যে যত দিন এই রাষ্ট্র নামের কাঠামো যথেষ্ট রোমান্টিক হতে না পারবে তত দিন মানুষেরা দুর্ভোগের উপশমের কোনো সম্ভাবনা নেই। ইলিয়াস খুব ভালোভাবে প্রশ্ন তোলেন এই বাস্তবতাকে।বিরুদ্ধতা দেখান। বিরুদ্ধতায় আক্রান্ত হয় তার কলম। কখনো সে কলম লেখার অধিকার হারিয়ে ফেলে। বিরুদ্ধ সময়, অনিশ্চয়তা, অনির্ধারণযোগ্যতা দিয়ে তিনি ব্যাখা করেন স্থিতি। বরণ করে নেন এক অনির্ণীত জীবন। তার এই অবস্থান ধারণ করার ক্ষমতা রাখে কবিতা, শুধু কবিতা।কবিতা দিয়ে তিনি লড়াই চালিয়ে যেতে চান। ইলিয়াসের কবিতা মননশীল পাঠককে নতুন কিছুর সাথে পরিচয় করাবে। ব্যতিক্রমী এক কবিতার জগতে প্রবেশ করাবে তা কোনো সন্দেহ ছাড়াই বলা যায়। #প্রথমাডটকম_কথাপ্রকাশ_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা