বইয়ের বিবরণ

দুই হাজার বছর পর পৃথিবীতে কোনো আলাদা দেশ নেই। মানুষের মৃত্যু হলে তার কপি করা মস্তিষ্ক পুনরায় দেহে বসিয়ে জীবন্ত করা হয়। বয়স দুই শ বছর হওয়ার আগে মৃত্যুর অনুমতি পেতে হলে বিশেষ ছাড়পত্র লাগে। বনবিজ্ঞানী অদিতা সান সেই ছাড়পত্র চান। এর বহু বছর আগে অদিতা ও বিষাণের সন্তান সেনভা হারিয়ে গিয়েছিল চাঁদে। বিষাণের গবেষণাই মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়াকে সাফল্যমণ্ডিত করেছিল। কিন্তু মানুষের জীবনকে দীর্ঘমেয়াদি করার সিদ্ধান্ত সমাজকে এক দার্শনিক দ্বন্দ্বের সম্মুখীন করে। সেই দ্বন্দ্বের ফল এক বিশাল ষড়যন্ত্র। ব্যতিক্রমী কথাকার দীপেন ভট্টাচার্যের হাতে সামাজিক ও কারিগরি পরিবর্তনের সম্ভাব্যতার প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর এই ভবিষ্যৎ রূপ নিয়েছে এক আকর্ষণীয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনিতে। এক হাজার তিন শ থেকে দুই হাজার বছর পরের কাহিনি বয়ান করা হয়েছে এই আখ্যানে, পাঠককে যা আনন্দ দেবে, অভিভূত করবে। 

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

দীপেন ভট্টাচার্য

দীপেন ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৫৯ সালে। আদি নিবাস এলেঙ্গা, টাঙ্গাইল। মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পদার্থবিদ্যায় মাস্টার্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানে পিএইচডি করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট ইনস্টিটিউটের গবেষক ছিলেন। পরে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার রিভারসাইড ক্যাম্পাসে (ইউসিআর) গামা রশ্মি জ্যোতির্বিদ হিসেবে যোগ দেন। এ ছাড়া ক্যালিফোর্নিয়ার রিভারসাইড কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক। ১৯৭৫ সালে তিনি বন্ধুদের সহযোগিতায় ‘অনুসন্ধিৎসু চক্র’ নামে একটি বিজ্ঞান সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর দিতার ঘড়ি, নিওলিথ স্বপ্ন ও অভিজিৎ নক্ষত্রের আলো নামে তিনটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনি প্রকাশিত হয়েছে।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
০(০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন